সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

সোনারগাঁয়ে ভেজাল পণ্যে বাজার সয়লাব স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা

আশরাফুল আলম

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২১  

মানুষ খাবার খায় জীবন বাঁচানোর জন্যে। সেই খাবার এখন ভেজাল ও বিষযুক্ত। অথচ সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন হাট বাজারসহ সর্বত্র প্রকাশ্যে ভেজাল পণ্যের রমরমা ব্যবসা চলছে। ভেজাল বিরোধী ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান স্থবির হয়ে পড়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিভিন্ন রং ও রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত শিশু খাদ্য আইসক্রীম, জুস, কোমল পানীয়, চিপস, চানাচুর, চাটনী, ডালভাজা, চুইনগাম, চকলেট, অরেঞ্জ ট্যাং পাউডার, বেকারী পণ্যসহ বিভিন্ন খাদ্যে ভেজাল স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এমনকি ভোজ্যতেল ফল ও শাকসবজিতে রাসায়নিক দ্রব্য দেয়া হচ্ছে।

 

বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় খাদ্যে ইচ্ছেমত বিষ প্রয়োগ করছে অসাধূ ব্যবসায়ীরা। উপজেলা সদরের মঙ্গলেরগাঁও বটতলা বাজার, হোসেনপুর, কাইকারটেকবাজার, মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা, কাঁচপুর, মদনপুর, নয়াপুর, আনন্দ বাজার, মেঘনাঘাটসহ সব এলাকার হাটবাজার বিপণী বিতান কিংবা ফুটপাতে যেখানে যেই পণ্যই বিক্রি হচ্ছে, তা কতটা ভেজাল মুক্ত অথবা মানসম্পন্ন তা এখন প্রশ্নবিদ্য। উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মীদের সমন্বয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকদফা ভ্রাম্যমান আদালত কার্যক্রম পরিচালনা হলেও ভেজাল প্রবণতা কমছে না।



অভিজ্ঞ মহল ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে, খাবারকে সুস্বাধু ও স্থায়িত্ব রক্ষায় নানা রকম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এই রাসায়নিক দ্বারা প্রস্তুত করা খাবার খেয়ে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের কার্যক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে। ভেজাল খেয়ে মানুষ তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ধাবিত হচ্ছে। কোমলমতি শিশুরা ও বাদ পড়ছেনা ভেজাল প্রবণতার আক্রমন থেকে।

 

বাজারে বেশির ভাগ শিশু খাবারই নিম্ন মানের। বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদনহীন ভেজাল শিশু খাদ্য এখন পাড়া মহল্লায়ও পাওয়া যায়। যেগুলো কিছু অসাধু ব্যাক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য। প্রচলিত আইনে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান থাকলেও অজ্ঞাত কারনে আইন যথাযথ প্রয়োগ করা হচ্ছেনা বলে ভেজালের মতো ঘৃণ্য কর্মকান্ড বন্ধ করা যাচ্ছেনা। ভেজাল প্রতিরোধে খাদ্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের প্রতি নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য দাবি জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিক সমাজ।
 

এই বিভাগের আরো খবর