রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৮ ১৪৩১

সোহাগ রনির কুকীর্তি এখন দেশজুড়ে আলোচিত

এম মাহমুদ

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৪  

 

 

 

‘সোনারগাঁয়ের হাজী’ বিভিন্ন শিরোনামে তাকে নিয়ে যুগের চিন্তায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে দেশের সুনামধন্য গণমাধ্যমগুলোও তার কুকীর্তি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় দেশব্যাপী বহুল আলোচিত হচ্ছে হাজী শাহ্ মো. সোহাগ রনি ওরফে ‘সোনারগাঁয়ের হাজী’। এছাড়াও তার কুকীর্তি নিয়ে আওয়াজ তুলছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন এবং তার কুকীর্তির বিষয়ে অভিযোগ পেলে দুদকও ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

 

 কিন্তু হাজী শাহ্ মো. সোহাগ রনি ওরফে ‘সোনারগাঁয়ের হাজী’ বিভিন্ন সময় তার এসকল কুকীর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন করলে তিনি বরাবরই তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের দিকে আঙ্গুল তুলেন এমনকি অর্থবিত্তের মালিক বৈধ ভাবেই ভ্যাট ট্যাক্স দিয়েই হয়েছেন বলেন দাবি করেন। তবে সময়ের সাথে হু হু করে তার অর্থনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন নিয়ে এলাকাবাসীর রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।


সোহাগ রনির বিভিন্ন কর্মকান্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০১১ সালে জেলা ছাত্রলীগে সহ-সভাপতি পদের মাধ্যমে প্রবেশ করেই আধিপত্যে বিস্তার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর এই আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে জমি দখল, বালু মহল নিয়ন্ত্রণ, মেঘনা ইকোনমিক্স জোনের কনস্ট্রাকশন ব্যবসা থেকে শুরু করে মেঘনা ইকোনমিক্স জোনের সকল ব্যবসায় ভাগ বসিয়ে তার একক নিয়ন্ত্রণ গড়ে তুলেন। 

 

এভাবেই রাতারাতি তার সম্পত্তির পাহাড় গড়ে উঠতে থাকে। তার সম্পদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি গাড়িসহ এলাকাবাসীর অনুমানে তিনি শত কোটি বা হাজার কোটি অর্থের মালিক। তবে এলাকাবাসীর দাবি ২০১১ সাল থেকে প্রভাব বিস্তার করলেও ২০১৫ সালের দিকে বাড়ি গাড়িসহ কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়া শুরু করেন। তবে তার কাছে কি এমন আলাদীনের চেরাগ রয়েছে যে ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। 

 

তবে তার আলাদীনের চেরাগকে ডেকে রাখতে প্রতিষ্ঠা করেছেন তার নিজস্ব কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেমন: সোনারগাঁ রিসাইকেল ইন্ডাস্ট্রি, সুলতান কনস্ট্রাকশন, সাফওয়ান ট্রান্সপোর্ট, ওভারসিজ কোম্পানী, সৌদি আরবে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠাসহ নদীপথে ড্রেজার বাল্কহেডও রয়েছে একাধিক। কিন্তু তিনি দাবি করে থাকে তিনি এসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে গড়ে তুলে ধীরে ধীরে অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। 

 

এলাকাবাসীর দাবি, জমি দখল, বালু মহল নিয়ন্ত্রণ, মেঘনা ইকোনিমিকস জোনের কনস্ট্রাকশন ব্যবসা থেকে শুরু করে মেঘনা ইকোনিমিকস জোনের সকল ব্যবসায় ভাগ বসিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে সাথে সাথে গড়ে তুলেছেন এসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ ছিল। তার পিতা মাতা এখনো দাবি করে সোহাগ রনির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার। 

 

জমি দখল করেও তিনি কোম্পানী থেকে টাকা নিয়েছেন তবে সেই জমির মালিকদের এখনো ঠিকঠাক টাকা বুঝিয়ে দেননি বলে অভিযোগ করছেন। অর্থনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এক সময়ের তার নিজ রাজনৈতিক গুরুর চেয়ারম্যান পদেও ইউপি নির্বাচন করেছেন। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগ থেকে সরাসরি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদও ভাগিয়েছেন। 

 

কিন্তু তার রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়া নিয়ে মুখ খুলছেন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলেও বলছেন। এছাড়া দুদকেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলেও আশ্বস্ত করছেন। তার এসকল কুকীর্তিই যুগের চিন্তায় ব্যাপকভাবে প্রচারের পর দেশের সুনামধন্য ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম দেশ টিভিতেও ‘হাঁড়ি-পাতিল বিক্রেতা থেকে শতকোটি টাকার মালিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ায় তার এসকল কুকীর্তি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। যার কারণে সোহাগ রনির কুকীর্তি এখন দেশজুড়ে আলোচিত।  

এই বিভাগের আরো খবর