স্মার্টফোনের দাপটে জৌলুস হারাচ্ছে স্টুডিও ব্যবসা
আবু সুফিয়ান
প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
# সময় বদলে যাওয়ায় কমছে স্টুডিও ল্যাবের সংখ্যা
একটা সময় ছিল যখন ছবি তোলার জন্য সবাই স্টুডিওতে যেতেন। স্টুডিওর তোলা সেই ছবি যেন শুধু ছবিই নয়। ফ্রেমে ফ্রেমে বাঁধানো স্মৃতির উপাখ্যান। পারিবারিক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন আয়োজনে ছবি তুলে সেই ফ্রেম বন্দি করে রাখার স্মৃতি হাতছাড়া করতে চান না কেউ। আগে যেকোনো উৎসবে ছবি তোলার জন্য হিড়িক পড়ে যেত স্টুডিওতে।
স্টুডিও ফটোগ্রাফি
কিন্তু এখন সময়ের সাথে বদলেছে স্টুডিও ফটোগ্রাফি। সাদা কালো থেকে রঙিন যুগে প্রবেশ করেছে স্টুডিও ফটোগ্রাফি। আর ফিল্মের ক্যামেরার জায়গা নিয়েছে ডিএসএলআর। ধীরে ধীরে রূপান্তর ঘটেছে স্টুডিও ব্যবসায়। স্বামী স্ত্রী কিংবা বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের একই স্টাইলের যে ছবি তোলার দৃশ্য তা এখন আর চোখে পড়ে না।
স্টুডিওতে ছবি তোলার আগে সুন্দর কাপড়ে কত সাজগোজ। আর আয়নায় নিজেকে বারবার দেখা। স্টুডিওর এমন দৃশ্য এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ছবি কিংবা ভিডিও দুটিই এখন করছে হাতের স্মার্টফোন। এখন মানুষের হাঁটা-চলা থেকে শুরু করে সব আচার-অনুষ্ঠান ধারণ করা হয় এই স্মার্টফোনে। আর এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে এক সময়কার রমরমা স্টুডিও ব্যবসা।
নিজ হাতেই যখন স্টুডিও তখন আর কে যায় দূরের স্টুডিওতে। তাইতো এখন আর কোনো কিছুই বাদ যায় না স্মার্টফোনের সেলফি থেকে। প্রযুক্তির এই যুগে প্রত্যেকের হাতে স্মার্ট ফোন মানেই এক একটি ডিএসএলার ক্যামেরা। আবার কারো হাতে দেখা যায় বিশাল লেন্সের ডিজিটাল ক্যামেরা।
নারায়ণগঞ্জের একটি স্টুডিওর কর্মচারী জানান, স্টুডিওতে এখন মানুষ আগের মত ছবি তুলতে আসেননা । কিন্তু বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে স্টুডিওতে আসেন। পাসপোর্ট বা ভিসার ছবি তোলার জন্য স্টুডিওতে আসেন। তাছাড়া বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানিক কাজে ছবি তুলতে মানুষ স্টুডিওতে আসেন।
নারায়ণগঞ্জের স্টুডিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের হাতে হাতে ক্যামেরা চলে আসায় এখন আর ছবি তোলার জন্য সচরাচর স্টুডিওতে আসেননা কেউ। আবার খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া ছবি প্রিন্টও করান না কেউ। তারা জানান, সাধারণ কাজের জন্য যেসব ছবি লাগে তা বিভিন্ন ফটোকপি-প্রিন্টের দোকান থেকে কম দামের কাগজে করিয়ে নেওয়া যায়।
স্টুডিও জোনাকিতে ছবি তুলতে আসা স্কুল শিক্ষার্থী আরিয়ান বলেন, স্কুলের কাজে ছবি তুলতে এসেছি। স্টুডিওতে না এসে এই ছবি ফোন দিয়ে তুললে হয় না তাই এখানে এসেছি। শহরের স্টুডিও ফটোগ্রাফোতে ছবি তুলতে এসেছেন মো. রিয়াদ। তিনি যুগের চিন্তাকে বলেন, একসময় সাদাকালো বক্স ক্যামেরায় ছবি তোলা হতো।
এরপর আসে পিনহোল, এসএলআর ও কমপ্যাক্ট ইত্যাদি ফিল্ম ক্যামেরা। ২০০০ সালের দিকে ছোট ডিজিটাল ক্যামেরা এলে তা ক্রমে মানুষের হাতে হাতে চলে যায়। এর মধ্য দিয়ে ফিল্মের পরিবর্তে কার্ডের ব্যবহার শুরু হয়।
ডিএসএলআর ক্যামেরার যুগ
তারপর ডিএসএলআর ক্যামেরা এলে ছবি তোলার প্রক্রিয়া আধুনিক হয়। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসে স্মার্টফোনের বিস্তারের ফলে। তাই স্টুডিওতে ছবি তোলার চাহিদা অনেক কমেছে।
এদিকে স্টুডিওর গ্রাহকসংখ্যা কমে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন স্টুডিও মালিকরা। অনেকে স্টুডিওতে ফটোকপি ও প্রিন্টার মেশিন রেখেছেন। কেউ কেউ আবার অনলাইনের বিভিন্ন কাজও করে থাকেন।
সাদাকালো ছবির সময়ে বড় স্টুডিওগুলোতে রমরমা ব্যবসা ছিল। তখন এখানে অনেক কর্মী কাজ করতেন। আর এখন এই কর্মীর সংখ্য কোন কোন স্টুডিওতে দুই থেকে তিন জনে নেমে এসেছে।
বলা হয়ে থাকে আগে বিনোদনের জায়গা ছিল দুটি। ছবি তোলা আর সিনেমা দেখা। এখন সেই অবস্থা আর নেই। এখন দাপ্তরিক কাজের জন্য মানুষ স্টুডিওতে আসেন। স্টুডিও ব্যবসায়ীরা জানান, ভিসার কাজের জন্য অনেক দূতাবাস এখনো নির্দিষ্ট কালার পেপারে ছবি চায়।
এসব ক্ষেত্রে ছবি সাধারণ ইনজেক্ট পেপারে দিলে দূতাবাস তা গ্রহণ করে না। ফলে এ ধরনের কাজে মানুষ স্টুডিওতে আসেন। যাঁরা দীর্ঘদিন ছবি সংরক্ষণ করে রাখতে চান, তাঁরা আসল কালার পেপারে ছবি প্রিন্ট করিয়ে অ্যালবামে বা বাঁধাই করে রাখেন। বিয়ে, জন্মদিন, মডেলিং ইত্যাদি কাজে কম হলেও এখনো স্টুডিওর চাহিদা আছে।
স্টুডিও ফটো জুমে ছবি তুলতে আসা মো. সাকিব বলেন, স্মার্টফোনে হাজার হাজার ছবি তুলছেন যারা। তাদের প্রয়োজন পড়ছে না স্টুডিও বা ল্যাবে যাওয়ার। বাংলাদেশে একটা সময় সবাই বিভিন্ন স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তুলতেন।
আজ সবই অতীত
পরিবারের সঙ্গে তোলা সেসব ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য। স্টুডিও দেয়ালের সেসব দৃশ্যে শোভা পেতো ফুল লতা পাতায়। কিন্তু এখন সবই অতীত।
সাদা কালো ছবির সময় শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এখন কারো বাসায় আর বাঁধানো ছবি খুব একটা চোখে পড়ে না। সবাই মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে আপলোড করে রাখেন। কিন্তু সেই ছবিতে যে আবেগ ছিল; এখনকার ছবির মধ্যে তা সত্যিই খুঁজে পাওয়া যায় না। এন.হুসেইন/জেসি
- আ.লীগের সেক্রেটারি পলাতক, ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সভাপতি
- ভূইগড়ে পলিথিন কারখানায় অভিযান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা
- ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষই নির্যাতনের শিকার : গবেষণা
- সবজির মূল্যে ঊর্ধ্বগতি
- না.গঞ্জে বেড়েছে ছিনতাই
- রূপগঞ্জে সুতা কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- গাজীর সন্ত্রাসীরা এখন দিপু ভূঁইয়ার কর্মী : সেলিম প্রধান
- ওসমান পরিবারের দোসরদের প্রতিহত করবে যুবদলের নেতাকর্মীরাই
- ফতুল্লায় শামীম ওসমানসহ ৬৩ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা
- পাগলায় অবাধে চলছে অবৈধ পলিথিন কারখানা
- আবারো ভর্তি পরীক্ষায় ফিরছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
- ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ব্যবসায়ীর লাশ, ধারণা হত্যা
- নাসিক সিইও’র নির্দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরীতে ঔষধ স্প্রে
- দুর্ধর্ষ সৈকত রাজ আতঙ্কে কুতুবাইল-কাঠেরপুলবাসী
- নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
- লাশের ১১ টুকরা ফেলে দেয়ার পর নিশ্চিন্তে ঘুম দেন প্রেমিকা রুমা
- খুনের ঘটনা বাড়ায় উদ্বেগ
- লিটন-শান্তর নেতৃত্বে বন্দর থানা কৃষকদলের কমিটির অনুমোদন
- এক বছরে পাঠ্যবই তিনবার কিনিয়েছেন শিক্ষকরা
- এক বছরে পাঠ্যবই তিনবার কিনিয়েছেন শিক্ষকরা
- সুসময়ের নৌকা প্রত্যাশীরা পলাতক
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলতে চায় আজারবাইজান
- না.গঞ্জের সাবেক র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন গ্রেপ্তার
- রাগে-ক্ষোভে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরো করেন প্রেমিকা
- বিনামূল্যে আজীবন চিকিৎসা পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা
- শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
- শহরের যানজট নিরসনে পাঁচ সংস্থার যৌথ অভিযান ও জরিমানা
- আকাঁশছোঁয়া দামে সবজি, চালে ঊর্ধ্বমুখী
- খানাখন্দে ভরা শিমরাইল-আদমজী সড়ক
- গণদাবির বিরুদ্ধে অনড় বাস মালিকরা!
- ওসমান পরিবারের দোসরদের প্রতিহত করবে যুবদলের নেতাকর্মীরাই
- রাগে-ক্ষোভে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরো করেন প্রেমিকা
- গ্রেপ্তার হচ্ছেন পলাতক নেতারা
- দুর্ধর্ষ সৈকত রাজ আতঙ্কে কুতুবাইল-কাঠেরপুলবাসী
- বিতর্ক কর্মকাণ্ডে বিলুপ্তির পথে খোকন
- বিএনপির ব্যাড বুকে তাঁরা
- সুসময়ের নৌকা প্রত্যাশীরা পলাতক
- লাশের ১১ টুকরা ফেলে দেয়ার পর নিশ্চিন্তে ঘুম দেন প্রেমিকা রুমা
- ফতুল্লায় শামীম ওসমানসহ ৬৩ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা
- লিটন-শান্তর নেতৃত্বে বন্দর থানা কৃষকদলের কমিটির অনুমোদন
- না.গঞ্জের সাবেক র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন গ্রেপ্তার
- ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন আল-আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম
- দুর্ধর্ষ দুই চাঁদাবাজে জিম্মিদশায় বন্দরের লক্ষণখোলা
- গাজীর সন্ত্রাসীরা এখন দিপু ভূঁইয়ার কর্মী : সেলিম প্রধান
- পাঁচ দিনের রিমান্ডে উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন
- এক বছরে পাঠ্যবই তিনবার কিনিয়েছেন শিক্ষকরা
- সাবেক হুইপ বাবুর ক্যাডার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন গ্রেফতার
- ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ব্যবসায়ীর লাশ, ধারণা হত্যা
- নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
- শহরের যানজট নিরসনে পাঁচ সংস্থার যৌথ অভিযান ও জরিমানা
- মহিলাসহ রিসোর্টে অবরুদ্ধ মামুনুল হক (ভিডিও)
- আমরা ঝুঁকিপুর্ণ এলাকায় রয়েছি : মোস্তাইন বিল্লাহ
- রমজানের আগেই অস্থির বাজার
- নিটল টাটা মটরস’র প্রাইভেট কারের নতুন শো রুম উদ্বোধন
- সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে করুণদশা, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকছেন ব্যাংকে
- ‘লেটার অব ক্রেডিট’ বা ‘এলসি’ এর আদ্যোপান্ত
- গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিল
- ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নাসিকের বাজেট ৭১৫ কোটি টাকা
- গার্মেন্টসে বেতন বাড়াতে রাজি মালিকদের শর্ত ট্যাক্স কমাতে হবে
- ঝাঁঝ কমছেনা আদার, অপরিবর্তিত সবজির দামও
- সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঠিকাদারের কাছে চাঁদাদাবি : উত্তেজনা
- বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সেই ব্যাংকে চেয়ারম্যান নিয়োগ
- না’গঞ্জে কুমিল্লা জেলা সমিতি গঠিত
- পাল্টে গেছে বাজার চিত্র : ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি শিম
- দাম কমল কোরবানির পশুর চামড়ার