হাতের তৈরী সেমাই খেতে ভালো লাগে, এখন আর নেই : এবি সিদ্দিকি
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০১৮, ০৯:০৮ এএম
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): এখন তো আর আগের মত ঈদ নাই। ছোটবেলা একটা স্মৃতি আমার মনে আছে আমরা গ্রামে ঈদের সময় আসলে নদীতে নৌকাবাঁইচ খেলা হত। তখনকার সে স্মৃতিগুলো আজও মনে নাড়া দিয়ে ওঠে। ইচ্ছে করে আবারো সে শৈশবে ফিরে যাই । কিন্তু এখন আর এমন কিছু নেই। সব কিছু যন্ত্র কেন্দ্রীক হয়ে গেছে হয়ে গেছে।
যুগের চিন্তা ২৪’র সাথে ঈদ আড্ডায় শৈশবের ঈদ উদযাপন স্মৃতি বর্ণনা দিচ্ছিলেন নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি এবি সিদ্দিকী। ঈদ আনন্দ নিয়ে এবি সিদ্দিকী জানান, সবচেয়ে বড় কথা হলো তখনকার সে নির্মল আনন্দটা এখন অনেকটা কৃত্রিম হয়ে গেছে। হয়তো সামনে আরো পরিবর্তন হবে। ঈদে এখন তো আর নিজেদের কেনাকাটা বলতে তেমন কিছ’ নেই। এখন কেনাকাটা থেকে শুরু কওে সবকিছু ছেলেমেয়েদের কাছে চলে গেছে। ছোটবেলায় ঈদে কেনাকাটা করা খুব সাধারণ ব্যাপার ছিল। তবুও অনুভূতিটা অন্যরকম ছিলো। একবার ঈদে আমার বড়ভাই আমার ্জন্য জুতা নিয়ে গিয়েছিল। আর সেই জুতা পরে আমি সারা গ্রাম ঘুরে বেড়িয়েছিলাম আমার নতুন জুতা পড়ে। ঈদ বখশিস বা ঈদী আদান প্রদান নিয়ে এবি সিদ্দিকী জানান, আসার সময় দেখে আসলাম আমার স্ত্রী আমার নাতি নাতনীদের ঈদ বকশিস দিয়ে আসলো। কিন্তু আমাদের সময় এ ব্যাপারটা থাকলেও খুব বেশি, ছিল না। তখন কেউ চার আনা, আট আনা আবার এক টাকা দিত। তখনতো এক টাকা পাওয়া ছিলো বিশাল ব্যাপার। এখন তো দুই হাজার টাকাও কম। পরিবার নিয়ে ঈদ কাটানো প্রসঙ্গে এবি সিদ্দিকী জানান, ঈদে প্রতিবারের মত এবারো এখানেই পরিবারের ঈদ কাটানো হবে। ঈদের দিন পছন্দের খাবার নিয়ে এবি সিদ্দিকী জানান, ঈদের দিন ভালো লাগে ভোরবেলায় উঠে হাতে তৈরী সেমাইটা খেতে। এখন তো হাতে তৈরী সেমাইটা পাওয়া যায় না। গ্রামের দিকে কিছুটা দেখা গেলেও শহরের এ হাতের তৈরীর সেমাইটার চল একেবারেই নেই। তবে ছোটবেলায় ঈদের সময় একধরনের সেমাই পাওয়া যেত যেটা গ্রামে চালের গুড়া দিয়ে চালনীতে চেলে তৈরী করা হত। তারপর বালিতে ভাজা হত। কী যে চমৎকার খেতে ছিল। এখন তো মেশিনের তৈরী সেমাইটাই হাট বাজার দখল করে রেখেছে। যুগের চিন্তা ২৪’র সাথে ঈদের আড্ডা থেকে এবি সিদ্দিকী পরিবার,আত্মীয় স্বজন ও নারায়ণগঞ্জবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সবার ঈদ আনন্দে কাটুক এটাই কামনা। পরিবার পরিজন নিয়ে যারা ঈদ করতে ঘরমুখী হচ্ছে তারা নিরাপদভাবে বাড়ি ফিরে যাক এটাই কামনা করছি।