Logo
Logo
×

রাজনীতি

হিংসা-চক্রান্তে কমিটিতে ঠাঁই হলোনা সক্রিয় নেতা দীপের

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৩, ০২:০২ পিএম

হিংসা-চক্রান্তে কমিটিতে ঠাঁই হলোনা সক্রিয় নেতা দীপের


# অভিযোগের তীর সাবেক সাংসদ কায়সারের দিকে

সারা বাংলার এক সময়ের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবাররক হোসেনের সুযোগ্য পুত্র এরফান হোসেন দীপ সক্রিয় ভূমিকায় সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে পর্দাপন করার পর থেকেই একজন সজ্জন তরুন উদীয়মান রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হিসেবে আলো ছড়াতে থাকেন।

 

 

তবে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামীলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে পর্দাপন করলেও রাজনীতিতে উত্থান ঘটে বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এবং সেসময় রাজনৈতিক মামলায় দীর্ঘদিন কারাবরণও করেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ সদস্য ও মোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদের চেয়ারম্যান পরিচয় নিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন।

 

 

সোনারগাঁ আওয়ামীলীগে দীপের সক্রিয় রাজনীতিতে উত্থানের সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তৃণমূল আওয়ামীলীগসহ সাধারণ জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে ধীরে ধীরে সোনারগাঁয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যাওয়াতেই সোনারগাঁ গ্রুপিং রাজনীতির ব্যাক্তিত্ব নেতাদের রক্তচক্ষু হয়ে উঠেন। যার কারণে সোনারগাঁয়ের গ্রুপিং রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকরা দীপকে রাজনীতিতে ঘায়েল করতেই না চক্রন্তে লিপ্ত হয়েছেন। যেটা সাম্প্রতিক সময়ে থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের কর্মকান্ডে প্রতিয়মান হয়েছে।

 

 

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোবারক হোসেনের উত্তরসূরী হিসেবে তার পুত্র এরফান হোসেন দীপ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার পরও থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা জেলার প্রস্তাবনা কমিটিতে ও থানা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবনা কমিটিতে কোন পদেই তাকে ঠাঁই দেয়নি।

 

 

তবে প্রস্তাবনা কমিটিগুলোতে দীপকে মাইনাসের নেপথ্যে ছিল সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দীপের অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে জাহির করা সাবেক সাংসদ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাত এমনটাই অভিমত করছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা।

 

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত অখ্যাত কুখ্যাত বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতাদের ও নিজের পারিবারিক লোকজনদের স্বজনপ্রীতি করে পদায়ন করলেও এরফান হোসেন দীপকে ঠাঁই দেননি। যদিও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুদল হাইয়ের প্রস্তাবিত কমিটিতে যুব ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রস্তাব করলেও সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে দীপকে কোন পদেই স্থান দেননি সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।  

 

 

প্রস্তাবনা কমিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তার আপন ভাই সানজিদ হাসনাতকে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সদস্য পদে আদিষ্ট করা হয়। তবে সে আওয়ামীলীগের কোন কর্মকান্ডে সরাসরি কখনো লিপ্ত না থাকলেও পারিবারিক সূত্রে ও তার ভাই সাবেক সংসদ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার প্রভাবেই সদস্য পদে আদিষ্ট হয়ে যান।

 

 

অপরদিকে  ফরিদপুরের সন্তান কায়সার হাসনাতের আত্মীয় ৫নং সহ-সভাপতি পদে আব্দুল মতিন দুলালকে পদায়ন করা নিয়ে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সর্বাত্নক আলোচনা সমালোচনা তীব্র ক্ষোভ চলমান রয়েছে। মূলত আব্দুল মতিন দুলাল কায়সার হাসনাতদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ডাইংয়ের কর্মকর্তা ছিলেন।

 

 

পাশাপাশি আব্দুল মতিন দুলাল স্থায়ী ভাবে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন। তারপরও নিজের পারাবারিক লোককে পদায়নের স্বার্থে ফরিদপুরের সন্তান ও নারায়ণগঞ্জের বর্তমান বাসিন্দাকে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদে আদিষ্ট করে। এছাড়া সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের ১নং যুগ্ম সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে কায়সার হাসনাতের চাচাত ভাই আশরাফুজ্জামানকে।

 

 

তবে তিনি সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের রাজনীতেতে তেমন সক্রিয় আওয়ামীলীগের না থাকা সত্ত্বেও তাকে থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাতের প্রভাবে ১নং যুগ্ম সম্পাদক পদে আদিষ্ট করেন। সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাতের আরেক চাচা আরিফ মাসুদ বাবু সোনারগাঁয়ে ইতিমধ্যেই আওয়ামীলীগের বিতর্কিত নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

 

 

সেই বিতর্কিত নেতা নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক কমিটি থাকা অবস্থায় আহ্বায়ক কমিটি সদস্য থাকাকালীন সময়ে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোন। সেই আরিফ মাসুদ বাবুকে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের বর্তমান প্রস্তাবিত কমিটিতে কায়সার হাসনাতের সুপারিশে ২নং সদস্য পদে পদায়ন করা হয়। তার পদায়নে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তীব্র সমালোচনার সৃষ্ট হয়েছে।

 

 

সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে সদস্য পদে নির্বাচিত করা হয়েছে কায়সার হাসনাতের আপন চাচা মনির হোসেনকে। যিনি সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় নেতা নয় পারাবিক সূত্রে মূলত আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত। এছাড়া প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক পদে কায়সার হাসনাতের আরেক চাচা মোস্তফা কামাল নিলুকে পদায়ন করা হয়েছে।

 

 

তবে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংসদ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাত স্বজনপ্রীতি করে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন পদে আদিষ্টিত করলেও তাদের মধ্যে অনেকেই অঙ্গসংগঠনের রাজনীতি ও আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে পদে আদিষ্ট হয়নি।

 

 

মূলত কায়সার হাসনাতের প্রভাবেই স্বজনপ্রীতি করে তারা পরিবারের লোকজনদের সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ স্থানীয় পদগুলোতে পদায়ন করে পদগুলো দখল করে রেখেছেন। তবে মোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদের চেয়ারম্যান এরফান হোসেন দীপ সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাতের আপন চাচাতো ভাই হওয়া সত্ত্বেও তাকে প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য পদে রাখা হয়নি।

 

 

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁয়ে এরফার হোসেন দীপ রাজনৈতিক ভাবে উর্বর হওয়ার সাথে সাথেই পারাবারিক ভাবে এবং সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত দীপকে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে ভেবে নিয়ে তাকে রাজনীতিতে কোণঠাসা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

 

 

যেটা সাবেক সাংসদ কায়সারের পূর্বের কর্মকান্ডেও প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়া বর্তমান সময়ে থানা আওয়ামীলীগ ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে দীপকে ঠাঁই না দেয়ার নেপথ্যে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন তারই চাচাত ভাই সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত এমনটাই অভিমত প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা।  এন. হুসেইন রনী  /জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন