শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ১৩ ১৪৩১

২৫ পয়সা ঈদ সালামি নিয়েই মহাখুশি থাকতাম : এড.পলু

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): ঈদ এলেই সবার মাঝে আনন্দ আসে। কারণ এই দিনে সব ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মিলিত হয় সকলে। নামাজ শেষে করা হয় দেশবাসীর জন্য ও সমস্ত মুসলিম উম্মার জন্য বিশেষ মোনাজত এরপর ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলে একে অন্যের সঙ্গে কাঁধেকাঁধ মেলায়। করে কুশল বিনিময় আর এটাই বাঙালীর ঐতিহ্য। পবিত্র ঈদুল ফিতরের যুগেরচিন্তা ২৪’র এবারের ঈদ আড্ডায় কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড.হাবীব আল মুজাহিদ পলু। 

 

এবারের ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে এড.পলু বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদ গ্রামের বাড়ি বন্দরের সোনাকান্দায় সপরিবারে উদযাপন করবো। ইতিমধ্যেই ছেলে মেয়ে ও বাড়ির সকলের জন্য ঈদের কেনাকাটার পর্ব শেষ হয়েছে। পুরো রমজানমাস ব্যাপীই মূল লক্ষ্য থাকে গরীব দুঃখী মানুষকে যতদূর সম্ভব সহযোগিতা করার, দুঃস্থ্যদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর। এটিও অনেকটা গুছিয়ে নেয়া হয়েছে। 

 

ঈদে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সেক্রেটারি। তিনি বলেন, যেহুতু রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ঈদের নামায পড়ে কবর জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পর থেকেই বন্ধু বান্ধব, রাজনৈতিক কর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ পর্ব শুরু হয়ে যায়। ঈদের দিন, এরপর কয়েকদিন পর্যন্ত আড্ডা জমজমাট থাকে। মেয়ের পরীক্ষা থাকায় এবারের ঈদে দূরে কোথাও যাওয়া হবেনা। সবাইকে নিয়ে এখনেই জমজমাট ঈদ উদযাপন করবো। 

 

ঈদ সালামির প্রসঙ্গ টেনে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, আমাদের পরিবারটি একান্নবর্তী। অনেক মানুষ ছিলো। তাই ঈদের সালামির জন্য অনেক জায়গায় যেতাম। ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা ঈদ সালামি পেলেই মহা খুশি হয়ে পড়তাম। এই সালামির টাকা নিয়ে আমার প্রধান খাবার ছিলো আমাদের এলাকার বিখ্যাত চটপটি। এর স্বাদ এখনো মুখে লাগে। তবে আমাদের সেই একান্নবর্তী পরিবারটি এখন ভেঙে সবাই আলাদা হয়ে গিয়েছে। সবাই ঈদেই একসাথে হয়। তবে আগের মতো সেই মজাটা এখন অনেক মিস করি।

 

শুভানুধ্যায়ীদের উদ্দেশ্যে এড.হাবীব আল মুজাহীদ পলু বলেন, আমার রাজনৈতিক ও পেশাগত সহকর্মীদের প্রতি ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা। পরিবারের সকলকে নিয়ে সবার ঈদ কাটুক অনাবিল আনন্দে সেই কামনাই করি। 

এই বিভাগের আরো খবর