রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

৮০ টাকার ঊর্ধ্বে সকল সবজির দাম, লাগামহীন বাজার

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২৩  


নিত্য পণ্যের বাজার ক্রমশই লাগামহীন হয়ে পরেছে। বাজারে প্রতিটি সবজির দাম বাড়া নিয়ে কারসাজি নতুন নয়। দিনের পর দিন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যেও দাম বেড়েই চলেছে। এতে সকল পণ্য এখন মানুষের নাগালের বাহিরে। মানুষ অনেকটাই সিঃস্ব।

 

 

বাজারের সর্বনিম্ন সবজির দাম ৮০ টাকার উর্ধ্বে। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার তদারকির কথা থাকলেও মাসেও মিলে না ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা দেখা। এতে বেপরুয়া হয়ে উঠছে সবজি বিক্রেতারা। বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই বলে ভোক্তা অধিদপ্তরের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা।

 


 বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলুর প্রতি পাল্লা (৫কেজি) ২২০ টাকা। ইন্ডিয়া পেয়াজের প্রতি পাল্লা (৫কেজি) ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেয়াজের প্রতি পাল্লা ৪২০ টাকা। কাচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা। ইন্ডিয়ান নতুন আদা প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, রসুনের প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

 

সিম প্রতি কেজি ২০০টাকা। বেগুন ১১০ টাকা। বরবটি ১৬০ টাকা। কাকড়ল ৮০ টাকা। পটল ৮০ টাকা।  দুনদুল ৮০ টাকা। পেপে ২০ টাকা। কড়লা ১০০ টাকা।  লাউ ছোট সাইজ প্রতি পিস ৮০ টাকা। মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা। ঢেড়স কেজি ৮০ টাকা। লাল শাক ৭৫ টাকা কেজি।

 

 

পালং শাক ৮০ টাকা। মুলা শাক ৪০ টাকা। লাউ শাক প্রতি মোঠা ৭০ টাকা। অন্যদিকে সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা দরে। পাম ওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে।  

 


কয়েকজন ক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজারে সবজির দাম যদি আকাশ সমান দাম হয় সরকার কি এটা চিন্তা করে না খুচরা বাজের এর দাম কতো হবে। যেখানে সপ্তাহে ২-৩ দিন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বাজার মনিটরিং করবেন সেখানে তাদের কে মাসে একবারও দেখা যায়।

 

 

তাদের দেখলে ব্যবসায়ীরা জিনিসের দাম কম রাখে তারা আবার বাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আবার ব্যবসায়ীরা আগের দামেই বিক্রি করে। এছাড়া বাজারে এক দল সিন্ডিক্রেট রয়েছে যারা ইচ্ছে করে ১ টাকার জিনিস ৫ টাকায় বিক্রি করে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না। দেখেও না দেখার মতো থাকে। তারা যদি সঠিক ভাবে বাজারের তদারকি করতো তাহলে এসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দিন দিন এতো বাড়তো না।      

 


এ বিষয়ে হাবিব নামে এক দিনমুজুর বলেন, বাজারের দিন দিন যে অবস্থা হচ্ছে মানুষ না খেয়ে মরে যাওয়ার মতো। বাজারের কোনো পন্যে হাত দেওয়া যায় না। যেকোনো সবজি ধরলেই বিক্রেতারা বলে একদাম ৭০-৮০ টাকা দামাদামি করবেন না।

 


এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর এর সহকারী অফিসার মো. সেলিমুজ্জামান যুগের চিন্তাকে বলেন, আমরা তদারকি  করছি এবং করে যাবো। এ ব্যাপারটা শুধু ভোক্তা অধিদপ্তর দেখে না। আরো কয়েকটি সেক্টর রয়েছে। আপনি বাজার কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে পারেন তাদের কাছে আরো তথ্য রয়েছে।

 

 

তাহলে আপনারা বাজার মনিটরিং সঠিক ভাবে করতে পারছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জেলাই লোকবল মাত্র দুইজন কাজ করে যাচ্ছি। তবে আপনি আমার বক্তব্য দিয়ে না। এছাড়া আপনার কাছে যদি এমন কোনো অভিযোগ থাকে যে বেশি নিচ্ছে তাহলে আপনি আমাকে বলবেন। আমি সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।   এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর